প্রক্টরসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতর থেকে ১৭ জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। তারা প্রত্যেকেই রেজিস্ট্রার বরাবর তাদের পদত্যাগ জমা দিয়েছেন।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার সময় ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ।
তিনি বলেন, ১৭ জন রেজিস্ট্রার বরাবর তাদের পদত্যাগ জমা দিয়েছেন। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ।
২০১৫ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় এতদিন তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। যদিও সিন্ডিকেট নির্বাচন দিতে মহিবুল আজীজ প্রশাসনকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন। সর্বশেষ গত বছরের ১০ আগস্ট নির্বাচন চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের কাছে মহিবুল আজিজসহ চিঠি দেন চার সিন্ডিকেট সদস্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২৫ (বি) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির ছয়টি পদে শিক্ষকদের নির্বাচিত সদস্যরা প্রতিনিধিত্ব করেন বলে জানা যায়। বর্তমানে যার ছয়টি পদই শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ডিন ও প্রভোস্ট প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়ায় পদ শূন্য। এ ছাড়া অধ্যাপক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি অবসরে যাওয়া, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি পদোন্নতি পাওয়া ও সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি শিক্ষাছুটিতে যাওয়ায় এই চারটি পদ কয়েক বছর ধরে শূন্য। সর্বশেষ এই চার ক্যাটাগরির নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের পদগুলোতে নির্বাচন দিলে নিজের পছন্দসই মানুষকে সিন্ডিকেটে বসাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশাসন সন্দিহান। তা করতে না পারলে নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বাধা আসতে পারে। এই কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না।