মেধা ও যোগ্যতায় চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৩৩ তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) পৌনে ১২টার দিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে নতুন চাকরি পাওয়া এই তরুণ-তরুণীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিজ মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এসময় তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার কুষ্টিয়া) বদরুজ্জামান জিল্লু, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ জানায়, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন ২৯ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা হবে মর্মে চাকরি প্রত্যাশীদের বারবার সচেতন করা হয়। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারক/দালালদের শরণাপন্ন না হওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
এর আগে, জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ৮টা হতে নিয়োগ কমিটি প্রথম ধাপে চাকরি প্রার্থীদের মধ্য থেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৫২৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। গত ১৭ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে প্রাথমিক বাছাইকৃত ৫২৫ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১১৩ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। গতকাল রোববার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১৩ জন প্রার্থী মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৯ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।