আজ সোমবার সরাইল উপজেলা বিএনপির ঘটে যাওয়া বিবাদ নিরসনে শান্তিপূর্ণ সমঝোতা খুশিতে নেতাকর্মীরা দেখছিলাম আর ঘাঁটছিলাম গেটে দেখলাম । সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা, সুখ-সমৃদ্ধি, ঐক্য-সম্প্রীতি, সাম্য-মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের নিদর্শন স্বরূপ মানুষের মধ্যে স্নেহ-মায়া-মমতা, শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভূতি, ধৈর্য-সহনশীলতা, সততা, বিশ্বস্ততা, সংবেদনশীলতা প্রভৃতি সামাজিক গুণ অবশ্যই থাকা উচিত। সেখানে থাকতে পারে না কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব-কলহ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, গোলমাল-হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষ, ফিতনা- ফ্যাসাদ, সহিংসতা-উগ্রতা, হিংসা-বিদ্বেষ, অনিষ্ট ও অকল্যাণের অশুভ লক্ষণ। মানবসমাজে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কার্যকলাপকে ইসলাম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। পবিত্র কোরআনে নিষেধবাণী ঘোষিত হয়েছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর এতে তোমরা বিপর্যয় ঘটাবে না।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ৫৬)।। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে সরাইল অন্নদা হাই স্কুল মোড়ে তরুণ দলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তরুণ দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেই কমিটি গঠন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।কর্মীসভা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নূর আলম তরুণ দলের কমিটি নিয়ে তর্কে জড়ায়।একপর্যায়ে দুলাল মাহমুদ ও নূর আলমের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষ সমাধানে আজ ২৫ নভেম্বর সোমবার বিকেল ৪ টায় সরাইল উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বিবাদ নিরসনে দুই পক্ষকে একশান্তিপূর্ণ সমাধান করে দেন।ঝামেলাটি মীমাংসা করে দেয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন,সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রফিকুল হাসান, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার,সদর ইউপি বিএনপির সভাপতি মো. কাজল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রফিকুল ইসলাম মানিক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ এলাকার মুরুব্বি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই শান্তিপূর্ণ সমাধান কে সরাইল এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে।