স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এমন গবেষণা ও উদ্ভাবন করতে হবে, যার দ্বারা দেশের অর্থনীতি এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২ হাজার ৩৫১ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য মেধাবী তিন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।
এসময় আগামীতে শিক্ষাখাতে কোডিং, ডিজাইন, রোবোটিক্স এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ডা. দীপু মনি। এছাড়াও যথাযথ আইন মেনে উচ্চ শিক্ষার গুনগত মান ধরে রাখতে পারায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি কর্মজীবনে দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সম্মানীয় ফেলো, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়ন একদিকে যেমন জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহারে বিভাজন ও সহিংসতা ছড়াচ্ছে। তাই, তিনি প্রযুক্তির দ্বারা জীবন পরিচালিত না করে, মানবিক মূল্যবোধ দিয়েই প্রযুক্তি কে পরিচালিত করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্রাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।