সাংবাদিকতা এবং ব্যক্তিগত সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালায় অংশ নিয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি (ডিআইইউসাস)৷ কর্মশালায় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক আইনগত প্রেক্ষাপট, নারী ও শিশুদের সম্পৃক্ততা এবং সুরক্ষা, ডিজিটাল হাইজিন এবং অনলাইন নিরাপত্তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদর্শন করেন।
২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আদাবর ডিএসকে প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে গোপনীয়তা, ডেটা সুরক্ষা এবং অনলাইন সুরক্ষার তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ডিআইইউসাসের ৪ সদস্যসহ ২৫ জন লেখক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন৷ কর্মশালাটির আয়োজন করে ভয়েস ফর ইন্টারেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস)।
ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ উল্লেখ করেন, যে উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে চিহ্নিত করতে এবং তাদের গতিবিধি রেকর্ড করার জন্য, যা শেষ পর্যন্ত তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকারকে প্রভাবিত করছে।
কর্মশালায় মানবাধিকার, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা আইন, তথ্য অধিকার আইন নিয়ে কথা বলেছেন মো. তৌফিক আল মান্নান। ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও ব্যাক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার প্রয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন ব্রাক ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার সাইমুম রেজা তালুকদার। ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণ, গোপনীয়তা রক্ষার কৌশল ও ফলাফল নিয়ে কথা বলেছেন আশরাফুল হক। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, সুরক্ষায় নারী ও শিশু সংবেদনশীলতা, ডিজিটাল পরিচ্ছন্নতা, টুলসের ব্যাবহার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাবহারের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে কথা বলেন তানভীর হাসান জোহা ।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে প্রযুক্তিগুলি উন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে মানুষকে চিহ্নিত করতে এবং তাদের গতিবিধি রেকর্ড করতে ব্যবহার করা হচ্ছে – শেষ পর্যন্ত তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। কর্মশালাটি কর্মক্ষেত্রে এবং তার বাইরেও গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার আলোকে ডিজিটাল গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষার একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।