হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ব্যবহৃত টিস্যু। কল-বেসিন ভাঙা। নেই মূত্রত্যাগের পর পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, পাশ দিয়ে গেলেই দুর্গন্ধ নাকে আসে। আশপাশ নোংরা।
এমনই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের টয়লেটগুলোতে। এই বিষয়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, টয়লেটগুলো নোংরা, দুর্গন্ধ ও অপরিষ্কার। কিছু কিছু টয়লেটে মূত্রত্যাগের স্থানে নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, নেই টিস্যু ও কোন টিস্যু রাখার পাত্র। যেখানে সেখানে টিস্যু রাখার ফলে টয়লেটে পানি জমে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কিছু দরজার সিটকানি নেই, আবার অনেক দরজার কপাট ভাঙ্গা, রয়েছে বেসিংয়ের অভাব, নেই হাত ধোঁয়ার হ্যান্ডওয়াশ কিংবা সাবান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন বেশ কয়েক মাস যাবৎ আমাদের টয়লেট বেসিংয়ের এই অবস্থা কারো কোনো খেয়াল নেই। কেউ দেখেও দেখে না। টয়লেটগুলো থেকে এত দুর্গন্ধ বের হয় যে দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি দিয়ে ক্লাসে যাওয়ার সময় নাক, মুখ চেপে ধরতে হয়। দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয়। এই রকম একটি কলেজের ওয়াশরুমগুলো দেখলে মনে হয় কোনো বস্তুর টয়লেট। তারা বলেন এর থেকে আমাদের পরিত্রাণ কবে হবে জানি না। তবে এই জন্য আমরা কলেজ প্রশাসনের দ্বায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করবো।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। যেহেতু মনে করিয়ে দিয়েছো তাই আমি এটা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি দায়িত্বরত একজনকে ডেকে নিয়ে এসে বলেন যাতে দ্রুত সময় মধ্যে মেরামত করে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এবং নতুন করে টয়লেট প্রতিস্থাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, চাইলেই নতুন করে টয়লেট প্রতিস্থাপন সম্ভব নয় কারণ প্রতিবছর সরকারিভাবে একটি বাজেট থাকে। নতুন বছর বাজেট আসলে আমরা অত্যাধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিবো।
বিভিন্ন রোগ বিশেষজ্ঞ থেকে জানা যায়, হেপাটাইটিস, আমাশয়, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায় নোংরা টয়লেট থেকে। টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকলে যেকোনো সময় জীবাণু আক্রমণ করতে পারে।