সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসের সাধারণত শিক্ষার্থীদের মনে র্যাগিং নিয়ে বিরাজ করা ভীতি ও আতংককে দূর করতে এবং তাদের মাঝে এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র্যাগিং-রেসিজম ও যৌন হয়রানি রোধে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পদযাত্রা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে দলীয় টেন্ট থেকে র্যাগিং বিরোধী পদযাত্রার সূচনা করা হয়। সেখানে হলসমূহ’সহ ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পদযাত্রাটি অনুষদ ভবনের সামনে হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুজ্ঞয়ী মুজিব ম্যুরাল ঘুরে বটতলায় সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আয়োজন করে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সমাবেশে নেতারা র্যাগিং এর দায়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অন্তরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতিকর নানাবিধ কারণ উল্লেখ করে বলেন এটা কোন উপযুক্ত কার্যকরী পন্থা নয় সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে পরিচিত হওয়ার। অবিলম্বে র্যাগিং নামক কুরুচিপূর্ণ মানসিকতা থেকে শিক্ষার্থীদের বেরিয়ে আসা উচিত।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংকে না বলুন’, ‘র্যাগিং ও যৌন হয়রানি উভয়ই ফৌজদারি অপরাধ’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এতে র্যাগিং বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশ প্রাঙ্গন। নেতাকর্মীদের হাতে ‘স্টপ র্যাংগিং, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংকে না বলুন’, ‘র্যাগিং ও যৌন হয়রানি উভয়ই ফৌজদারি অপরাধ’ শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের অধিকার’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড লক্ষ্য করা যায়। পদযাত্রা শেষে বটতলায় আলোসভার আয়োজন করা হয়।
এসময় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় মাঝেমাঝে খুলতো আর বেশির ভাগই বন্ধ থাকতো। ছাত্রদল ও শিবিরের লড়াইয়ে সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্য রাজপথে থেকেছে।
এবিষয়ে সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত জানান, জননেত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করার জন্য যে চ্যালেঞ্জ তাকে স্বাগত জানিয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগ সামনে আধুনিক, উন্নত, জ্ঞানমনস্ক একটি যুগোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।