দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ করলো হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় ইউজিসি অডিটোরিয়ামে উক্ত ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে প্রথম ধাপে হাবিপ্রবিসহ দেশের আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রমের পৃথকভাবে উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান এ সময় নিজ আইডি লগইন করে একটি পত্র জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রমের সূচনা করেন।
ডি-নথির এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদিত হবে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারীরা যে কোনো স্থানে, যে কেনো সময় বসে পেপারলেসভাবে ফাইল অনুমোদন দিতে পারবেন। এতে সময় ও কাগজের সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে ডি-নথি কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ক্যাশলেস সোসাইটি ও পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ধাপে ধাপে পেপারলেস করা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পর্যায়ক্রমে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন ক্যাশবিহীন করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গত ছয় বছরে সরকারের ১১ হাজার দপ্তরে ১ লক্ষাধিক কর্মকর্তা, ২ কোটির বেশি ফাইল ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছেন। সরকারি সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করায় অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৩ লক্ষ শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। তিনি আরও বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনে নতুন সম্ভাবনা তৈরির লক্ষে দেশের ৫৭ টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে।