হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বিভাগ ও ইনভার্সিটি অব গোথেনবার্গ, সুইডেন এর বায়োলজিক্যাল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের যৌথ আয়োজনে “Transition from a biologist to be a bioinformatician with emphasis on plant a biotic stress ” উপর একটি কর্মশালার আয়োজন এবং “Sustainable Saline Farming Using Wheat” শিরোনামে প্রকল্পের এর চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোছা. নুর-ই-নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় হাবিপ্রবি’র আইকিউএসি-এর সম্মেলন কক্ষে উক্ত কর্মশালা ও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন উক্ত প্রকল্পের প্রজেক্ট লিডার এবং ইউনিভার্সিটি অব হোথেনবার্গ এর বায়োলজিক্যাল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর হেনরিক অ্যারোনসন ( Professor Henrik Aronsson), হাবিপ্রবি অংশের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর এবং বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো: আবু সাঈদ এবং সম্মানিত পরিচালক, প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার ও সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ, সুইডেন এর বায়োলজিক্যাল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর হেনরিক অ্যারোনসন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাইদ, সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. ইয়াসিন প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হক।
উক্ত কর্মশালার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মো: আবু সাঈদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, “খাদ্য চাহিদার উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় গ্রেডে পর্যাপ্ত খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রকল্প ও কর্মশালা গুরুত্ব বহন করবে। পাশাপাশি বায়োইনফরমেটিকস চর্চার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে দেশ আরো অনেক ধাপ এগিয়ে যাবে”।
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ জানান, বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল বিশেষ করে কোস্টাল অঞ্চলে লবণাক্ততার জন্য শত শত হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে শুষ্ক মৌসুমে। সমুদ্র তীরবর্তী যে সব জায়গা অব্যবহৃত রয়েছে সেখানে লবণাক্ত সহিষ্ণু গমের জাত উৎপন্ন করে অনাবাদি জমিকে আবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের অধীনে লবণাক্ত সহিষ্ণ একটি ভ্যারাইটি ডেভেলপ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি বায়োইনফরমেটিকস বিষয়ে কম্পিউটারে তথ্য যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে”।