কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলে র্যাগিং এর নামে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আইন বিভাগের সভাপতি ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান ৫০০৯ নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম.আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার এবং তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান ৫০০৯ নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে গত ১২ ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধ্র এক নবীন শিক্ষার্থীর উপর রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে হল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট এবং শাখা ছাত্রলীগের মোট ৪ টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী আজকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান জানান, আমরা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদি যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। এবং আজ তা রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছি।
এই প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম. আলী.হাসান বলেন, ছয় কর্ম দিবসেই জমা দিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে পাঠাবো। সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশনা দিবেন তা আমরা এক্সিকিউট করবো।