প্রতিষ্ঠার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নানাবিধ সংকটে জর্জরিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও শেষ হয়নি প্রথম প্রকল্পের কাজ। ফলে ক্লাসরুম সংকট, আবাসিক সংকট, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস সংকটও চরম। সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের জন্য মানসম্মত পৃথক অডিটোরিয়াম নেই, নেই পর্যাপ্ত গবেষণাগার।
লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বইয়ের সংকটসহ পরিবহন সুবিধা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত করা পারেনি।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর পাশাপাশি সর্বাগ্রে প্রয়োজন দক্ষ, যোগ্য, নিবেদিতপ্রাণ, আদর্শবান শিক্ষক। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে।
১৩বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রফেসর আছেন মাত্র একজন, সহযোগী অধ্যাপক ৪৫ জন। শিক্ষক স্বল্পতার কারনে একজন শিক্ষককে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কোর্স পরিচালনা করতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা গুণগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনিভাবে মহামারী আকারে তাদের ওপর জেঁকে বসেছে সেশনজটের কালো থাবা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ববি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এখনকার শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে দেশের সূর্যসন্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আগামীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা, সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর সমন্বয়ে এগিয়ে যাবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।