যথাযোগ্য মর্যাদায় নানান কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার রাত ১১ টায় চির উন্নত মম শিরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহিদদের স্মরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর একুশের প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কলা ভবন সংলগ্ন শহিদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সংগঠন, বিভাগ ও দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল ১১টায় কালো ব্যাজ ধারণ শেষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১ টায় কনফারেন্স কক্ষে শহিদ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন শহিদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর।
আসিফ মুনীর বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করি কিন্তু একই সাথে ভাষা সৈনিকদেরকেও স্মরণ করা উচিত। এছাড়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ভাবে বাংলা ভাষার উপর বিভিন্ন সময় আগ্রাসনের চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে সেটিরো প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে।
অন্যদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে ভাষাকে মেলাতে হবে।ভাষাকে অর্থনীতির সঙ্গে মেলাতে হবে। ভাষাটি ভালো ভাবে শিখে যদি অর্থনৈতিক ভাবে এগোতে না পারে তাহলে কিন্তু ভাষাকে কাজে লাগানো যাবে না। প্রধান অথিতি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কে প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাই
আমাদের সেটিকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাকে সর্বস্তরে আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।