সকাল ৮টাকা থেকে দেশের প্রথম মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে ছুটবে। প্রথমদিকে মেট্রোরেল প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে চালানো হবে। মেট্রোরেলে উঠতে গেলে যাত্রীকে অবশ্যই টিকেট কাটতে হবে। এই টিকেট হতে পারে একমুখী যাত্রার থেকে শুরু করে নানা মেয়াদের পাসও। যারা দিন এক বা দুইবার মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে আগ্রহী তাদেরকে সংগ্রহ করতে হবে টিকেট। মেট্রোরেলের সব স্টেশনের দোতলায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় টিকেট বিক্রির মেশিন। সেসব মেশিনে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে যে কোন যাত্রী সহজেই নিজেই টিকেট কাটতে পারবেন। এ মেশিনের টাচ স্ক্রিন প্যানেল ব্যবহার করা যাবে স্মার্ট ফোনের মতোই। শুরুতে ভাষা নির্বাচন করে মেশিনের বাঁ পাশের ওপর দিকে থাকা ‘একক যাত্রা টিকেট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তখন আপনি যে স্টেশনে অবস্থান করছেন, সেটি সবুজ রঙে স্ক্রিনে দেখাবে। এরপর আপনাকে গন্তব্যের স্টেশনের নাম নির্বাচন করতে হবে। তখন স্ক্রিনের ডান পাশে ভেসে উঠবে ভাড়ার পরিমাণ। এরপর আপনাকে স্ক্রিনের নিচের দিকের অপশন থেকে টিকেটের সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে। একজন যাত্রী একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকেট কিনতে পারবেন। টিকেটের সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়ার পর ‘ওকে (ঙক)’ বোতাম চাপতে হবে। এরপর মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা প্রবেশ করানোর নির্দেশনা আসবে স্ক্রিনে। নির্ধারিত জায়গায় টাকা প্রবেশ করালে কত টাকা দিলেন সেই তথ্য উঠতে থাকবে স্ক্রিনে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার টাকা যদি আপনি প্রবেশ করান, তাহলে স্ক্রিনের নিচের বাঁ দিকের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বেরিয়ে আসবে একক যাত্রার টিকেট। আর আপনি যদি কিছু টাকা ফেরত পান, সেটাও বেরিয়ে আসবে নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে। টিকেট কাটার সময় স্ক্রিনে দেখানো হবে, আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার জন্য আপনি কত টাকা পর্যন্ত ব্যাংক নোট মেশিনে প্রবেশ করাতে পারবেন। কম ভাড়ার জন্য একেবারে বড় নোট প্রবেশ করানো যাবে না। হাতে ভাংতি না থাকায় বা বড় নোটের কারণে টিকেট কাটতে না পারলে ঘাবড়ে যাওয়ার কারণ নেই; চলে যান টিকেট কাউন্টারে। সেখানে কর্মরত কর্মীরা নিমিষেই আপনাকে তুলে দিবে যাত্রার টিকেট। সেটি নিয়ে চলে হবে প্লাটফর্মের প্রবেশমুখে। বাংলাদেশে চালু সব ব্যাংক নোটই গ্রহণ করবে টিকেট বিক্রয় মেশিন। তবে, বেশি পুরনো ও ছেঁড়া নোট মেশিন নেবে না। এতে কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার জন্য সব স্টেশনেই থাকবেন দায়িত্বরত কর্মী, যারা চাওয়া মাত্রই সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাবে। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। তবে মাঝে মেট্রোরেলের আরও সাতটি স্টেশন রয়েছে। উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা সাউথ স্টেশনের ভাড়া একই, ২০ টাকা। এ ছাড়া প্রথম স্টেশন (উত্তরা নর্থ) থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা।
///