গত এপ্রিলের মতো আবারও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ । ঝলসে যাওয়া তীব্র গরম ও দাবদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় শ্রমিক, দিনমজুরসহ ভ্যান-রিকশাচালকরা। যার কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। তবে আজ রবিবার (২৬ মে) থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান। গতকাল শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৪২ শতাংশ। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। ওই দিন যা ছিলো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালকরা জানান, গত দুই দিন যাবত তারা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তীব্র রোদে রিকশা চালাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন। কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। শহরের এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, ফ্যানের বাতাস যেন গায়ে লাগছে না। সব থেকে বেশি কষ্ট পাছে বাচ্চারা । রাতে ভ্যাপসা গরমে ছটফট করছে তারা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল (২৬ মে) থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কমতে পারে।