রোববার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। এ অবস্থায় বাগেরহাট উপকূলের জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে। রোববার দুপুরের ভেতর সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সে লক্ষ্যে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করবে। দুপুরের ভেতর সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সেজন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া নগদ অর্থ, শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমেল ক্রমেই উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে মোংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। রাতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার কথা রয়েছে।