জেলায় ভয়াবহ বন্যায় পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির ফসল। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৩১০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৬ হাজার কৃষক। জানা যায়, ২০২৩সালে বান্দরবানে স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বান্দরবানের প্রায় ৮০শতাংশেরও বেশি এলাকা। ডুবে গেছে ফসলি জমি । নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ক্ষেত। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক, রেইচা, গোয়ালিয়াখোলা, বালাঘাটা, কালাঘাটা, কুহালং, বাকীছড়াসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ঠ হয়ে গেছে কলা পেপে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগান। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেগুন, শষা, কাকরল, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। শুধু তাই নয় আউশ আমন রোপা আমনসহ নষ্ট হয়ে গেছে বীজ ধান।দূর্গম পাহাড়ী ও প্রত্যন্ত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাই অনেক সরকারী বেসরকরী বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চালিয়ে আসছিল চাষাবাদের কাজ। কিন্তু বন্যার পানিতে নিজের আবাদকৃত বিক্রয় যোগ্য ফল ফসলাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ চালানো ও ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবারের বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতে ২২২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ২৭৮১ হেক্টর জমির রোপা আমন, ১৭৫৪ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ২৩৭২ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ২৭৭০ হেক্টর জমির ফল বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বান্দরবান সদরের গোয়ালিয়াখোলার কৃষক সাইফুল আলম বলেন, চাষের সব কিছু এবার নষ্ট হয়ে পচে গেছে। কি করব জানি না। ঋণের টাকা নিয়ে পেঁপে বাগান করেছি। সব শেষ । এ টাকা পরিশোধ করব কিভাবে। বান্দরবানে কুহালং এর আরেক কৃষক চিং সাইনু মারমা জানান, এক একরের মতো পেঁপে, বরবটি চাষ করা জমি ডুবে গেছে। আমার ঘরবাড়িও ডুবে গেছে। সব শেস হয়ে গেছে। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ- পরিচালক মো. হাসান আলী বলেন, অতি বৃষ্টি আর বন্যার কারণে প্রায় ৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩১০ কোটি টাকা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আমরা কৃষকদের বীজ সরবরাহ করছি।