বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদেরও। তেমনি অবহেলিত ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড রাজধরপুর গ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা অরুন কুমার সরকারের বাড়ীর পিছনে ৭.৮. ৯ নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউ.পি. সদস্য আসমা বেগম এর বাড়ী যাওয়া রাস্তা সহ জনগনের যাতায়াতের রাস্তা এবং ৭নং ওয়ার্ডের ইউ.পি. সদস্য আবুল কালাম আজাদ এর বাড়ীর পিছনে ও ফরিদ হোসেন চৌধুরীর বাড়ীর সামনের কাঁচা রাস্তাটি। দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও তেমন কোন অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী সহ স্থানীয়রা। মধুখালী -কামারখালী মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা থাকলেও এ রাস্তায় এখনো কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ৭নং ওয়ার্ডবাসী জানান এ এলাকায় প্রায় ৩০০ লোকের বসবাস। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। রাস্তার বিষয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিš‘ কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এলাকার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য না হয় ইটের রাস্তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফরিদপুর -১ আসনের এমপি মনজুর হোসেন বুলবুল এবং উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।