“বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, অশ্লীলতা, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে জামালপুর দেওয়ানগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল সানন্দবাড়ী এলাকায় সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.০০ টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধরএর সভাপতিত্বে দেওয়ানগঞ্জ সানন্দবাড়ী ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জামালপুরের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম। সভা শুরুতে শোকাবহ আগস্টের স্মরণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সমগ্র পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং শোক জ্ঞাপন করে সকলে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোন-কে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, একটি স্বাধীন দেশের মানচিত্র উপহার দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে সেই স্বপ্ন রূপান্তরের পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ভিশন ২০৪১ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে এগিয়ে চলেছি। এই উন্নতিতে বাধা হয়ে আসছে বিভ্রান্তকারী কিছু দুষ্ট চক্র। আমি অনুরোধ করবো আপনারা এই দুষ্ট চক্রের ফাঁদে পা-দিবেন না। তাদের মধ্যে একটি হলো সর্বনাশা মাদক। আমাদের অবশ্যই এই মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন আমি জামালপুর জেলায় যোগদান করে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। মাদকের সাথে কারো কোনভাবে সম্পৃক্ততা থাকবেনা সেটা পুলিশ সদস্য হোক, রাজনৈতিক বা অন্য যে কেউ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হলে চরম মূল্য দিতে হবে। এখানে আমার মা-বোন ও কন্যা সন্তান তুল্য তোমরা অনেকে আছো, শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষিত মায়ের ভূমিকা কিন্তু অপরিহার্য। তাই সমাজের একটি সার্বজনীন সমস্যা বাল্য বিবাহ থেকে মা-বোন কে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, কন্যা সন্তান কিন্তু কারো জন্য কোন বোঝা নয়। এটি দেশের সম্পদ। তোমরা বিভ্রান্ত না হয়ে একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে নিজেদেরকে অর্থনীতির কান্ডারী করে তুলো। আমি বিশ্বাস করি তোমাদের হাত ধরেই একদিন বাংলাদেশ উন্নয়নের সর্বোচ্চে পোঁছাবে। পুলিশিং সেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া, সেবার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করা এবং পুলিশের সাথে প্রান্তিক জনসম্পৃক্তা বৃদ্ধি লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন।