ঠাকুরগাঁও জেলায় স্টিফান তির্কী হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ এবং মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতা বন্ধের দাবিতে ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও সচেতন নাগরিক এর ব্যানারে এই মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের জেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মন্দিরপাড়া সেন্ট মাদার তেরেজা স্কুলের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের। স্টিফান তির্কীর স্ত্রী ভের্নিকা খালকো স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, আমাদের জাতী ভাই আজকে আমার স্বামীকে হত্যা করবে ভাবতে পারিনি। আমি আমার স্বামির হত্যাকারি জুলিয়ান টপ্প ও গাবে টপ্পের ফাঁসি চাই। এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। স্টিফান তির্কীর ২ মেয়ে রজলীন ও দীপ্তি বলেন, আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমরা ফাঁসি চাই। জুলিয়ান টপ্প ও গাবে টপ্পের ফাঁসি। যারা আমার বাবাকে আমাদের কাছ থেকে কেরে নিয়েছে তাদের ফাঁসি চাই সরকার ও প্রশাসনের কাছে এই আবেদন বলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন । পরে সেখানে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির এসে তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনা ঘটার ২ ঘন্টার মধ্যে আমরা হত্যাকারিকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এবং আসামীকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এবং আসামী জবানবন্দি দিয়েছে যে তারাই হত্যা করেছে। এই ঘটনায় হত্যাকারীর অবশ্যই বিচার হবে, এবং সর্বোচ্চ সাজা তাদের হবে বলে আশ্বস্ত করেন ।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি জাকোপ খালকোর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা শামসুজ্জোহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দুলাল তিগ্গা, সাংগঠনিক সম্পাদক জোসপিনা এক্কা, প্রচার সম্পাদ বেনেদিক কুজুর, আদিবাসী সমাজ কমিটির সভাপতি জোয়াকিম এক্কাসহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ১৮ আগষ্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় পৌর শহরের পরিষদ পাড়ার রবি ড্রাইভারের বাসার সামনে স্টিফান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্টিফান তিরকির হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত ২ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গেলো ২০ আগষ্ট রোববার ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।