এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালার কারিস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। এসময় তিনি ইউক্রেন থেকে তার আসা শরণার্থীদের নিয়ে তার দেশের অভিজ্ঞতার তুলনা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার তালিনের অবস্থিত কাদরিওর্গ প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে এস্তোনিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ.কে.এম. শহিদুল করিম এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়েছে।
তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্যোগের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সম্পর্ক জোরদার করার দৃঢ় ইচ্ছার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত করিম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং চলমান উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ এবং দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের তাঁর উচ্চাকাঙ্খার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
বর্তমানে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত করিম একই সাথে এস্তোনিয়া ও আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন।