রংপুর নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড আমাশু কুকরুলের ফারদিন আহমেদ জিহাদ (১৩) বছরের শিশুকে ৭৫ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা বলৎকারের মামলার রায়ে অসন্তুষ্ট বাদীপক্ষ।
রবিবার (১২ মার্চ ২০২৩) নারীশিশু কোর্টে আসামিকে বিকশল খালাস দেয় আদালত। ভিকটিমের মা বাদী জীবন বেগম বলেন, আমি এই রায় মানিনা, কোন সাক্ষী ঠিক ভাবে নেয়নি। সরকারী পিপি চুপ থাকে আমাদের পক্ষে কোন কথা বলেনা। এদিকে এসআই কারিবেল থানায় ভিকটিমকে দ্বিতীয় দিনে গোসল করিয়ে নমুনা নষ্ট করে তৃতীয় দিনে নমুনা নেয়, সেখানে ও দুইরকম রিপোর্ট দেয় মেডিকেল। জীবন বেগম বলেন আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করে সঠিক বিচার চাবো।
তিনি আরো বলেন ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে আমাশু কুকরুল পূর্ব পাড়ার ধান ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। ফারদিন আহমেদ জিহাদ আর আমিনুর রহমান মিলিটারী উভয়ের বাসা আমাশু কুকরুল সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডে।
আমার ছেলে ফারদিন আহমেদ জিহাদ রংপুরে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। কিন্তু করোনা কালীন সময় স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে জুম্মা পাড়ার বড় আল জামিয়াতুল নুরুল উলুম করিমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার বর্তমান ছাত্র। এই মিলিটারী আমিনুর আমার ছেলেকে প্রায় চার বছরে চার-পাঁচ বার বলৎকার করেছে। কিন্তুু সেই একই কাজ করার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন মিলিটারী আমিনুরকে আটকে রেখে মারডাং করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পরশুরাম থানায় মামলা হয়।
এব্যাপারে ফারদিন আহমেদ জিহাদ বলেন, আমিনুর দাদু আমাকে বলে তোরার বুকটা ফুলা লাগছে। এই কথা বলিয়া অনেক দিন আগে তিনি শরীর ঝাড়ফুক দেওয়ার কথা বলে আমার শরীরের সব কাপড় খুলতে বলে। তারপর আমাকে বলৎকার করে। আমি এই কথা বাসায় বলে দিতে চাইলে আমাকে বলে তোমাকে মেরে ফেলব, গুম করে ফেলব, তোমার বাবা – মাকেও মেরে ফেলব এই কথা বলে সব সময় ভয় দেখাইতো। আর আমাকে বলৎকার করত।