পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ চার জনের জামিন আবেদন করা হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় এ জামিন চাওয়া হয়। অপর দুইজন হলেন- কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে এ জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা।
এর আগে গ্রেফতারের পর শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে উপস্থিত করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর রায় দেন।
ঢাকার গণসমাবেশকে ঘিরে গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
নবচেতনা /এমএআর