রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়েছে। যদিও গতকাল বিকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোলাপবাগ মাঠ ও আশাপাশের এলাকা।
এদিকে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। সকাল ৭টা থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থান করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা সতর্ক অবস্থান করছেন।
২৩ বঙ্গবন্ধুর এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালযের সামনে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আমাদের নেত্রীর নিদের্শ ছিল-পাড়া মহল্লায় জনগণের যানমালের রক্ষা করার জন্য আমাদের পাড়া মহল্লায় পাহারাদার হিসেবে কাজ করার জন্য। আমরা সেই কাজটি করছি। ঢাকা শহরে প্রত্যকটি অলিগলি, রাস্তায়, মোড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগের ভাই ও বোনেরা পাহারাদার রয়েছে। কারণ বিএনপির অভ্যাস খারাপ। দোকানপাট খোলা দেখলেই হাত দিবে। সেই জন্য জনগণের যানমালের রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে। বিকাল পর্যন্ত দুষ্ঠু লোকদের সভা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, বিএনপি চার দিন আগে রাস্তা দখল করে বসেছিল এবং তাদের উদ্দেশ ছিল তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে, অস্থিতিশীল করে তারা ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করবে। এটাই ছিল তাদের (বিএনপির) ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনোই টিকতে পারে না। আমরা আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আওয়ামী লীগ যদি অক্ষত থাকে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই চক্রান্ত করে অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করে আমরা সত্য-সুন্দরের বিজয় নিশ্চিত করব। এই বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা সহ অবস্থানে বিশ্বাস করি।
বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীজুড়ে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
নবচেতনা /এমএআর