নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণও অশ্লীল ছবি ধারণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে প্রেমিকসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,তরিকুল ইসলাম বাবু (২১) উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের লালখান বাড়ির বর্তমান ঠিকানা বসুরহাট পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের মামুন মাদুলী নিবাসের মো.ইসমাইলের ছেলে। অপর আসামি আবুল খায়ের পুটন (২৩) রামপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ছমদ আলী মিয়াজী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে দুই আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে দুই আসামিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে একতলা বিশিষ্ট একটি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে তার প্রেমিক বাবু জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার ১৪ আগস্ট বিকেলে ৫টার দিকে ওই কিশোরীকে নিয়ে তার প্রেমিক পুনরায় ওই একতলা বিশিষ্ট বাড়িতে গেলে আসামি আবুল খায়ের পুটন ও ইমাম হোসেন রুবেল (২৫) বিষয়টি টের পেয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। একপর্যায়ে পুটন ও রুবেল মোবাইলের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে ও ব্ল্যাকমেইল করার মানসে প্রেমিক যুগলের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে প্রেমিক বাবুর থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
এজাহারে আরও বলা বলো হয়, দাবিকৃত টাকা না দিলে ধারণকৃত বিভিন্ন অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে। এতে প্রেমিক বাবু তার আত্মীয়ের মাধ্যমে আসামি রুবেলের বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে গত রোববার ১৪ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বাবু ধারণকৃত বিভিন্ন অশ্লীল ছবি তাহারা ডিলিট করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুনরায় ঘটনাস্থলে গেলে বখাটে পুটন ও রুবেলকে ঘরের ভিতর দেখে বাবু তার বন্ধু-বান্ধবদের জানালে তার বন্ধু-বান্ধব ঘটনাস্থলে গেলে তাহাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খবর পেয়ে গতাকল সোমবার রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রেমিক বাবু ও বখাটে পুটনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা গতকাল সোমবার নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রেমিক বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৩।
এসআই আরও বলেন, ওই মামলায় দুই আসামিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।