বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার ২৮ জুলাই (রবিবার) এক বিবৃতিতে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হানিফ ফ্লাইওভার, দুর্যোগ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ও যানবাহনে অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যে নাশকতাকারীরা এই অপচেষ্টা করেছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও ব্যাপক প্রাণহানি করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করে প্রথম থেকেই ইতিবাচক মনোভাব ও প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ বর্তমান সরকার অব্যাহত রাখেন। সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে কোটা বিষয়ক ২০১৮ সালের পরিপত্র গত ৫ জুন হাইকোর্টে বাতিল হলে সরকার সুপ্রীম কোর্টে আপিল করে এবং সরকারের প্রচেষ্টায় আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় স্থিতিতাবস্থার আদেশ দেন। ফলে আপিল বিভাগের এই রায় অনুযায়ী ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত হাই কোর্টের রায়টি অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলেও সরকারের প্রচেষ্টায় বিষয়টি একটি যৌক্তিক সমাধান হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত একটি সমাধান হাইকোর্টের রায়ে প্রতিফলিত হবে বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন। এরপর প্রাণহানিসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস, যানবাহন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর এবং ক্ষতিসাধন যারা করেছে নিঃসন্দেহে তারা দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এই অপশক্তিকে রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। এই বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিবৃতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে নাশকতাকারীদের হাতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। দেশবিরোধী অপশক্তি এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পুনরাবৃত্তি যাতে করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সরকারকে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার ও সকলকে এই বিষয়ে সচেষ্ট থাকার জন্যে বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।