সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবির আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের সহিংস তাণ্ডবের ঘটনায় নওগাঁ সদর, মান্দা ও পত্নীতলায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাশিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নওগাঁ ঐতিহ্যগত ভাবেই শান্তিপূর্ণ জেলা। সম্প্রতি কোটা আন্দোলন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি-জামায়াতে লোকজন এই জেলাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। আন্দোলন চলাকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর চড়াও হন নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ব্যবহার করতে হয়েছিল। পরে এসব ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় ৩৯ জন চিহ্নিত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৭ জনকে। যাদের মধ্যে নওগাঁ পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং সিনিয়র বিএনপি নেতা নজমুল হক সনি, জামায়াতে নেতা অ্যাডভোকেট আবু সায়েম ও ময়নুল ইসলাম রয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত অনেকেই এখনো পলাতক রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। বর্তমানে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ আছে। পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে, পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শিথিল থাকছে কারফিউ। তবে এ সময়ও জেলা শহর ও গ্রামে সেনাবাহিনী এবং বিজিবির টহল লক্ষ্য করা গেছে।