র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ০৩.৪০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-২৬/০১/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা-দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৪৩/৪৪৭/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ সংযোজন দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২; চাঞ্চল্যকর মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৭) হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক এজাহার নামীয় ০৩ নং আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম (২৪) ও এজাহার নামীয় ০৪ নং আসামী মোঃ দিলদার হোসেন (২১), উভয় পিতা-মোঃ হোসেন আহম্মদ, সাং-পর্বতপুর, রতনপুর, থানা-কানাইঘাট, জেলা-সিলেট’দ্বয়কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ নজরুল ইসলাম ও আসামীরা পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা। ভিকটিম নজরুল ইসলামের সাথে আসামীদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬/০১/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নজরুল তার নিজ মালিকানাধীন জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য ০৬ টি গরু রেখে আসলে আসামী কামরুল ও দিলদারসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের গরু গুলি চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় ভিকটিম উক্ত ঘটনা জানতে পেরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে আসামীরা ভিকটিমের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় আসামী কামরুল ও দিলদারসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের বাড়ির টিন ও কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিকটিমকে টেনে হিচড়ে বের করে এবং দা,রড,সুপারি গাছের রুইল,লাঠি দিয়ে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০/০১/২০২৪ তারিখ সকালে মৃত্যুবরন করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা উক্ত হত্যাকান্ডের পর থেকে নিজেদেরকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকার ডেমরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।