র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার আনুমানিক রাত ১৯:১০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভোলা জেলার সদর থানা স্পেশাল ট্রাই-১৬৬/২০১২, কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৬(৭)১২, ধারাঃ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(্এ) এবং ১৯ (এফ) ধারা; মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ২২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত, সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ জাফর (৪০), পিতা-শফিক আহম্মদ প্রঃ শুক্কুর আলী, সাং-ছোট আলগী, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামি মোঃ জাফর(৪০), পিতা – সফিক আহম্মদ @ শুক্কুর আলী, সাং – ছোট আলগী,০৮ নং ওয়ার্ড, থানা ভোলা সদর, জেলা – ভোলা এর স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডাকাতি ও অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি বিগত ২০১২ সালে অস্ত্র ও গুলি সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্ম গোপনে গিয়ে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ডিএমপি ঢাকার চকবাজার থানার শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছিলেন।তার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ) ধারায় ২০১৭ সালে ১৫ বছর ও ০৭ বছর করে মোট ২২(বাইশ) বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। দন্ডিত এই দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী দীর্ঘ দিন যাবত আত্মগোপনে থাকেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি জধন ও তাকে গ্রেফতার করার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।