রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার স্বর্ণসহ হাফিজ হাসান নামে এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মাসকাট থেকে ঢাকায় আগত ওমান এয়ারের একটি ফ্লাইট থেকে স্বর্ণসহ ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকারের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওমান থেকে আগত একজন যাত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন এমন গোপন সংবাদ আসে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুগ্ম পরিচালক, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং শিফট ইনচার্জের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করে।
এরপর এয়ারলাইন্সের বিমানটি ১১ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে সংযুক্ত হবার সঙ্গে সঙ্গে গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ফ্লাইটের ৩২ এ সিটের যাত্রী হাফিজ হাসানের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে তল্লাশি করে তার সামনের সিটের ব্যাক পকেটে সাদা স্কচটেপে মোড়ানো স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণ (যাত্রীসহ) গ্রিন চ্যানেলের ইনভেন্ট্রি টেবিলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে খোলা হয়। গণনা করে ৩২টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। পরে যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে আরও ৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। মোট উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৩৭১২ গ্রাম ও স্বর্ণালংকার যার ওজন ৯৮ গ্রাম অর্থাৎ উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ৩৮১০ গ্রাম। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
জব্দকৃত স্বর্ণবারগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ২(এস) অনুযায়ী চোরাচালান অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় ১৬৮ ধারা মোতাবেক কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা কর্তৃক স্বর্ণালংকার/স্বর্ণবারসহ যাত্রীকে আটক করা হয় এবং বিমানবন্দর থানায় যাত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।