রাজনীতি বলতে সেইসব নীতিকে বলা হয় যেসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি জাতি বা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো, “সাধারন মানুষের সাথে মিশে তাদের আশা, আকাঙ্খা, চাহিদা, সমস্যা, দু:খ কষ্ট সম্পর্কে সম্মুখ ধারনা নিয়ে বাস্তবিক ভাবে কাজ করে তাদের কল্যান নিশ্চিত করা”। উপরোক্ত সঙ্গা ও নীতির ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ সংসদীয় আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এর কর্ম, আচরন, স্বিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন সম্পুর্ন রুপে মিলে যায়। বিগত ১৪ বছর যাবত সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দের এমন কোন গ্রাম বা মহল্লা নাই যেখানে অধ্যাপক ডা. হাবীবে মিল্লাত বারবার ছুটে যান নাই। সেটা হোক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান বা অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার নিমিত্তে। তার এই প্রান্তিক পর্যায়ে ছুটে চলায় সাধারণ মানুষ এই মেসেজ পেয়েছে যে, নির্বাচিত হবার পর ক্ষমতায় আসীন হয়ে অধিকাংশের মতো তিনি নন, তিনি ব্যতিক্রম ও কাংখিত গুনাবলী সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং সংসদ সদস্য। তিনি সকল সময় সাধারণ মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে তাদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষা পুরন করতে পারেন। অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি সাধারণত প্রতি সপ্তাহে অন্ত:ত দুই দিন সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দে সময় দেন। তার এই সময় দেয়ার ব্যাপারটা আগেই টাইম সিডিউল আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে সকলেই জানতে পারে যে তিনি কখন, কোথায়, কত সময় এবং কি উদ্দেশ্যে অবস্থান করবেন। এতে জনগন প্রথাগত নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের গাম্ভীর্যময় ও গোপনীয় জীবন ধারনের বাইরের একজন জনপ্রতিনিধির জীবন ধারন সম্পর্কে জানতে পারে এবং আত্মার আত্মীয় ও আপনজন হিসেবে মানসিক ভাবে গ্রহন করে নেয়। প্রথাগত ধারণা আছে যে একজন জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের সম্পদ বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়ে ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে বিত্তশালী হবার জন্য সকল কাজ করে থাকে। কিন্তু সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দের মানুষ গত ১৪ বছরে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপির ব্যাপারে সম্পুর্ন উল্টো ধারনা মনে গেথে নিয়েছেন। কারন তিনি প্রথাগত জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যের ন্যায় টেন্ডারবাজী করেন না, স্থানীয় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য করেন না, দলীয় পদ পদবী দেয়ার জন্য অর্থের বিনিময় করেন না। আর এভাবেই তিনি সততার প্রতীক একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের নিকট পরিচিতি লাভ করেছেন। সিরাজগঞ্জ সদর আসনের অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের জনগনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত (রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট) উন্নয়ন করেছেন দৃশ্যমান ভাবে। যার সুফল সকল পর্যায়ের মানুষ সরাসরি ভোগ করতে পারছে। আর মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তির কারনে ইতিপূর্বে দেখা উন্নয়ন কর্মকান্ড আর অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপির সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিমানগত ও গুনগত বিচার বিশ্লেষণ করে ফেলেন। আর এভাবেই তাদের মনে বিশ্বাস পরিপক্কতা পেয়েছে তাদের অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি উন্নয়ন পাগল ব্যক্তি। তাইতো উপাধি দিয়েছেন, আধুনিক সিরাজগঞ্জের রুপকার অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি। ইন্টারনেট ও বিশ্বায়নের যুগে প্রতিটি মানুষ তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত দেশের মতো নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়। আর তারা প্রত্যাশা করে যে, তাদের জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেক ভালো কিছু করুক। এদিক দিয়ে বিবেচনায় অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও নদী শাষন করে নদী ভাংগনের স্থায়ী সমাধান এর ব্যবস্থা করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষ তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসস্থান যমুনাতে বিলীন হবে না বলে নিশ্চিত হয়েছে। আবার বিসিক শিল্প পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেরিন টেকনলোজি ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাকুরী বা জীবিকার ব্যাপারে দু:চিন্তা মুক্ত হয়েছেন যার সম্পুর্ন কৃতিত্ব তাদের এমপি অধ্যাপক ডা.হাবিবে মিল্লাত কেই দিচ্ছেন। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আসন সংকটের কারনে হাসপাতাল মানেই সাধারণ মানুষ ধারনা করতেন মেঝেতে কাথা বালিশ বিছানা বানিয়ে শুয়ে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করা। কিন্তু হাবিবে মিল্লাত এমপি সদর হাসপাতালে আসন সংখ্যা ২৫০ জনে উন্নীত করেন এবং রোগী ও তার স্বজনদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংযোজন করেন। ফলে সাধারণ মানুষ সরাসরি দৃশ্যমান ভাবে চিকিৎসা সেবা পেয়ে পুর্বের অবস্থা ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপির জন্য অন্তর হতে কৃতজ্ঞতা ধারন করে। সিরাজগঞ্জ শহর সম্প্রসারণ ও জটিল চিকিৎসা সিরাজগঞ্জেই যেনো সাধারণ মানুষ পেতে পারে এই জন্য একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন না করে শিয়ালকোলে স্থাপন করেছেন। এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে জনগণের মনে এক প্রশান্তির ছায়া স্থাপন করার কারিগর হিসেবে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপির নিকট আমার মতোই কৃতজ্ঞ সকল পর্যায়ের শ্রেণী পেশার মানুষ। অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত তার আসনের অন্তর্গত জনগনের সাথে ২৪/৭ সম্পৃক্ত থাকার জন্য যা করেছেন শুরু থেকেই, বর্তমানে সেটা অনেক এমপি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি অনুসরণ করেন। যেমন তিনি কবে আসবেন, কোথায় কোথায় প্রোগ্রাম করবেন- তার সকল কিছু তিনিই প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখ করা শুরু করেন। যা এখন অনেক এমপি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি অনুসরণ করেন। আর এতে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ সহজেই তার সাথে সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ করতে পারেন। ফ্লেক্সিবল লিডারশীপের এ এক অনন্য উদাহরণ। সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ছিলো যে, আমি আমার প্রয়োজনে যে কোন দিন, যে কোন সময় আমার ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে পারবো। অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপিকে যে কোন ব্যক্তি ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন (যদি না মিটিং বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত না থাকেন), সমস্যা বা প্রয়োজনগুলো শোনেন, সিরাজগঞ্জে থাকলে সরাসরি দেখা করতে বলেন অথবা সিরাজগঞ্জে না থাকলে কবে আসবেন জানিয়ে দেন। অর্থাৎ তার নিকট যেতে বা তার সাথে দেখা করে কথা বলতে অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে হয় না। যা অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিলো না বা সম্ভব হচ্ছে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, কেউ যদি এই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে চান তবে, একজন সাধারণ রিকশাওয়ালা কে দিয়ে ফোন করিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন অথবা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পাঠাতে পারেন। সিরাজগঞ্জ সদর আসনে অদ্যাবধি সবচেয়ে জনপ্রিয় সংসদ সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত আর এর নেপথ্যের উল্লেখযোগ্য কারন গুলো তুলে ধরেছি। এছাড়াও মেধাবী ছাত্র হিসেবে তার যেমন সিরাজগঞ্জে পরিচয় ছিলো ঠিক তেমনি বিশ্বের সুনামধন্য কার্ডিয়াক সার্জন হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি প্রমান করে যে জনগণের হক মেরে প্রথাগত নেতা, জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্যের মতো উন্নত বিশ্বে সেকেন্ড হোম করার জন্য তিনি রাজনীতি করেন না। তিনিই উল্টো উন্নত বিশ্বের আয়েসী জীবন বাদ দিয়ে বৃহৎ পরিসরে জনগনের সেবা করা হলো তার রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।