নরসিংদীর মনোহরদী চরমান্দালীয়া এলাকায় পূর্ব শক্রতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবুল কাশেম বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে একটি সি আর মামলা দায়ের করেছে, মামলাটি আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে এমসি তলবসহ ওসি মনোহরদী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে উপজেলার চরমান্দালীয়া গ্রামের নরসিংদী সরকারী কলেজের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী রাব্বি মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় হাস মোরগ তাড়ানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি নেশাখোর বখাটে আব্দুল্লা,হিরন,স্বরুফার,রাফেজার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় মামলার বাদী আবুল কালামের। পরে এর জের ধরে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শিক্ষার্থী রাব্বি ও বাদী আবুল কালামকে মেরেফেলার জন্য আক্রমন করে এবং পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।এসময় শিক্ষার্থী রাব্বি প্রতিবাদ করলে তার উপর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার বাবা আবুল কালাম, মা কাজল বেগম,চাচাত ভাই ইমরান গুরুতর জখম হয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে উদ্ধার করে শিক্ষার্থী রাব্বিকে মনোহরদী থানা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে ভর্ভি করে এবং সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে চাইনিজ কুড়াল,চাপাটি, ছোড়া উদ্ধারকরে গ্রাম বাসী। সন্ত্রাসীরা বর্তমানে প্রকাশ্যে এই বলে হুমকি প্রদান করছেযে সুযোগ পেলে শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনে মেরে ফেলবে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় সন্ত্রাসীদের দ্বারা খুনজখমের আশংখ্যা করছেন শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্যরা। মনোহরদী থানার ওসি আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত থেকে একটি পিটিশন মামলা থানায় পেয়েছি, তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইবে।