ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হচ্ছে। দ্রুত সময় আর বছরে দুবার এই তরমুজ ফলন হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষক চাষিদের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ আর বিক্রিতে ঝামেলা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে এ তরমুজের চাষ। বীজসহ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি অফিস। সরেজমিনে দেখা যায়, “ফ্লাড রিকন্সট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট” এর আওতায় উপজেলার বীরগাঁও, নাটঘর, বগডহর এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। ফলে পোকামাকড় আর গাছের গোড়ায় আগাছা না জন্মানোয় বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে না কৃষকদের। নাটঘর ইউনিয়নের বড়হিত গ্রামের কৃষক শামীম আহমেদ জানান, প্রথমবারের সূর্যডিম জাতের তরমুজ আবাদ করেছি। ২০ শতক জমি থেকে ৯২ হাজার টাকা তরমুজ বিক্রি করেছি। অনেক কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বগডহর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার আবু নোমান জানান, অসময়ে এই ধরনের সবজি আবাদে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি তরমুজ ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের হচ্ছে, বাজারমূল্য বেশ ভালো। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, নবীনগর উপজেলায় এই বছর প্রায় ২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে সূর্যডিম এবং বাংলালিংক জাতের তরমুজের চাহিদা বাড়ছে।কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন তরমুজের বীজ, মালচিং পেপার ও পরিচর্যা বাবদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সব ধরনের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তাই উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, কৃষি জলবায়ুর সাথে অভিযোজন করে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ কৌশল সম্পর্কে আমরা মাঠ দিবস এবং কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছি। বর্তমানে এটি টেকসই আবাদ হিসেবে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। মাত্র দুই মাসের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ পরিপক্ব হয়।