আওয়ামিলীগের সকল নেতাকর্মীদের বাংলার জমিনে বিচার হওয়ার প্রয়োজন আছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহসচিব মামুনুল হক।তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করে বাংলাদেশের পেছনে শুধু বাস দেয়নাই আওয়ামীলীগের পেছনেও বাস দিয়ে গেছে। আওয়ামীলীগের যারা নেতা কর্মী আছেন তারা আওয়ামীলীগের নাম ধুয়ে মুছে নতুন নাম নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসেন । আপনারা শেখ হাসিনার মতো প্রতিশোধ পরায়ন বুদ্ধি প্রতিবিন্ধি, মানষিক প্রতিবন্ধি একটা সাইকোপ্যাথ বাংলাদেশের মানুষের কাঁধের উপর বসিয়ে শাসন এবং শোষন করার ব্যবস্থা করেছেন। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় স্টেডিয়াম মাঠে খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন । তিনি বলেন ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের থেকে বেশি যুবককে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ নিপিড়িত হয়েছে। ৭১ সালের ৯ মাসে আমার মায়ের বুক খালি করেছিলো পাক হানাদার বাহীনীরা । ৭১ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত আমার ৩০ হাজার মায়ের বুক এবং কোল খালি করেছিলো কারা ? তিনি আরও বলেন ৫ আগষ্ট এর পর থেকে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক নাই । আসলে বাংলাদেশে কোনদিন কোথাও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সত্যিকার ঘটনা নাই । যেটা হতো সেটা নাটক। এই নাটকের কলাকুশলী শেখ হাসিনা এবং তার দোসরেরা । তারা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের উপর ছোবল মারতো। দিনের বেলায় ওরাই আবার ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসতো। এই হলো শেখ হাসিনার সংখ্যা লঘু নির্যাতনের কাহিনী। এখন শেখ হাসিনাও নাই নাটকও নাই। আওয়ামীলীগও নাই কাল নাগীনিও নাই । ইসলাম প্রিয় জনতা, হেফাজতে ইসলাম সহ সকল ইসলামী সংগঠনের প্রধান দায়িত্ব হলো সংখ্যা লঘুদেরকে নিরাপত্তা দেয়া । প্রশাসন কি করবে না করবে সেটা তাদের ব্যাপার । শেখ হাসিনার দলীয়করণের কারণে আজকে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে। এর দায় শেখ হাসিনার এর দায় আওয়ামীলীগের । এর থেকে পুলিশ বাহিনীকে বের হয়ে আসতে হবে । প্রশাসন কে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। দলমতের উর্দ্ধে উঠে জনগণের জন্য নিরপেক্ষ ভাবে রাস্ট্রের জন্য কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা নাকি ভারতে দেশের পাশেই আছেন। সুযোগ পেলেই নাকি দেশে আসবেন। লক্ষ কোটি মানুষ আপনার অপেক্ষায় আছে । আসেন। আমাদেরকে ভুলে গেলে চলবেনা শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্নারা এখনো আছে। তারা আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের টার্গেট আল্লাহর জমিনে খেলাফতে মজলিশ প্রতিষ্ঠা করা। এ সময় খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিনের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ পঞ্চগড় জেলা জামাতের আমির প্রভাষক ইকবাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। এর আগে মামুনুল হককে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে পঞ্চগড়ের কাদিয়ানীদের দ্বারা পঞ্চগড়ের শত শত মুসলমানের মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনকে এক মাস সময় বেধে দেন মামুনুল হক।