গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম. আহসান হাবিবের বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাসেল মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেন। যার স্মারক নং ০৫.৫৫.৩২৩০.০০২.১৪.০০২.২৪.৭৯৩। শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম. আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিগত ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অব্যয়িত বোর্ড ফি’র টাকা আত্নসাৎ, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অডিটের টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে উৎকোচ গ্রহণ, কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি করা, স্ত্রীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা আদায় করে আত্মসাৎ এবং অফিসের সকল দাপ্তরিক কাজ নিজের কুক্ষিগত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে প্রায় সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন, অফিস কক্ষে তালা ও সংবাদ সম্মেলন করার মুখে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে সহকারী অধ্যাপক রাশেদ হায়দার ও শহিদুল কবিরের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান কে আহবায়ক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম. মামুনুর রশিদ কে সদস্য সচিব এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন কে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম. আহসান হাবীবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।