বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছে। লুটপাট করে দেশকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী ও পাকিস্তানি শোষকদের চেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা এই সরকার ভালোভাবেই জানে, জনগণের ভোটে তারা আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
তাই ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন রকম ফন্দিফিকির আঁটছে। কিন্তু জনগণ এবার জেগে উঠেছে। গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে জেগে ওঠা জনগণকে দমাতে পারবেন না। জনগণ ভোট চোরদের আর ছেড়ে দিবে না।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টন থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত কালো পতাকা মিছিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মৃত্যুর জন্য চিন্তা করি না। মরণের জন্য যখন রাস্তায় নেমেছি তখন কেউ আমাদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না।
গত ২৬ জুলাই রাজধানীর ধোলাইখালে নিজের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, সে দিন তো আমার ওপর বন্দুক ধরেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, মারতে পারেন নাই। বেঁচে আছি। গুলি করে কী আন্দোলন বন্ধ করতে পেরেছেন?
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আপনাদের কাজ হচ্ছে চোর-ডাকাত ধরা। তাদের পাহারা দেয়ার আপনাদের দায়িত্ব নয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, গুলি করে আমাদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। বরং আন্দোলন আরো বেগবান হবে। যেদিন ঝামেলা করব সেদিন বলে-কয়ে করব।
এছাড়া সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
এর আগে, বিকাল ৩টায় কালো পতাকা গণমিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে বিলম্বিত হয়। এক পর্যায়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলটির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি আরামবাগ, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী সুপার মার্কেটের পাশ দিয়ে একটু সামনে গিয়ে শেষ হয়।