বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক, জাতিসংঘ তেমনটিই চায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন আর সেই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকের বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জাতিসংঘ। আওয়ামী লীগও চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে দেশ-বিদেশে তত গ্রহণযোগ্য হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। একই সঙ্গে সে নির্বাচনে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল অংশ নিক, সেটাও চায়। নির্বাচনে আসতে তাদের (বিএনপিকে) কেন জোরাজুরি করবো? রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের অধিকার, কোনো সুযোগ নয়।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিতে জোর দিচ্ছে সেসব বিষয়ে তাদের (জাতিসংঘের) কোনো বক্তব্য নেই, কোনো মাথাব্যথাও নেই। তারা বলেছে, এগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনাটা একটু ভিন্ন ছিল। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন, এসডিজিতে করণীয় কী- সে বিষয়গুলো। তারা (জাতিসংঘ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হওয়া বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।