মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারীরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে। খুনীদের মূল লক্ষ্য ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশে ২১ আগস্টের হামলা হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পূনরায় পাকিস্তানে পরিনত করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট হামলা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করতে দেয়নি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ২৪ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদ আইভি রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ২১ আগস্ট দিনের স্মৃতি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আমি তখন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেদিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র্যালিতে ট্রাকের সিড়ির সামনে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আইভি আপাও ছিলো। কর্মীদের যখন বললাম, এখনই নেত্রীর বক্তব্য শেষ হবে, তোমরা ব্যানারের কাছে যাও। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর পিচঢালা রাজপথ। তিনি বলেন,আইভি রহমান ছিলেন কর্মীবান্ধব ও রাজপথের সাহসী নেত্রী। রাজনীতিতে তার অবদান চিরস্মরণীয়। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফরিদা রেজা ও পারভীন জামান কল্পনা। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, আইভি রহমান তাঁর কর্মের মাধ্যমে এদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভায় বক্তারা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে শহিদ আইভি রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতির পিতা, ১৫ আগস্টের শহিদ ও ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।