র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ ও র্যাব-৫ এর যৌথ আভিযানিক দল রাজশাহীর বালিয়া পুকুর ছোট বটতলা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিনের পলাতক মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইয়াছমিন (২০), পিতা- ফজল খান, সাং- কাজিরবাগ, থানা- সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট হতে ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একই তারিখ উক্ত আভিযানিক দল রাজশাহীর বালিয়া পুকুর এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিনের পলাতক মানব পাচার মামলায় ০৭ বছরের কারাদন্ড ও ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামি শারমিন (১৮), পিতা- ফজল খান, সাং- কাজিরবাগ, থানা- সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সোমবার তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন গোলাম বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় ০১ বছরের কারাদন্ড ও ৫,০০০/- টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৭ দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ রিপন সরদার, পিতা- মোঃ কালু সরদার, সাং- গোলাম বাজার, থানা- দক্ষিন কেরানীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।