প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার কদমতলী, কেরাণীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, রং ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ০৯টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৯,০০,০০০/- (ঊনত্রিশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে নাজমুল ইসলাম মেটাল হোল্ডিং ফ্যাক্টরিকে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, কিডস্ ফুড ফেক্টরিকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, রানি স্টীল মিল ফ্যাক্টরিকে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, জেমস্ বন্ড কোম্পানীকে নগদ- ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, হ্যান্ড ফ্রিড পাপেড রাইস ফ্যাক্টরিকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, হোসেন মেনুফেকচারার্সকে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, বিএসএন ক্যাবল ফ্যাক্টরিকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, এডিশন ক্যাবল ফ্যাক্টরিকে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ও প্রদান কনজিউমার প্রোডাক্টস্কে নগদ – ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ০১ লক্ষ টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, রং ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।