র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিক নির্দেশনায় রোববার ০২.১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন দত্তকুশা উত্তরপাড়া গ্রামস্থ মের্সাস তন্ময় ব্রিকস্ ফিল্ড এর ভিতর হতে পর্ণোগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোস্তাকিন হোসেন (১৯) পিতা- মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ আব্দুর রহিম (১৯) পিতা- মোঃ আব্দুল হানিফ আকন্দ, উভয় সাং- দত্তকুশা, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জকে আটক করেছে। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার মামলা নং-১৫ রোববার ধারাঃ ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সংশোধনী ২০০৩; তৎসহ ৮(১)/৮(২)/৮(৩) পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী মোঃ আঃ রহিম ও মোত্তাকিম মিলে ভিকটিম মোছাঃ মরিয়ম আক্তার (২২)কে অনেক দিন যাবৎ বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। তারা ভিকটিমকে যখন তখন কু-প্রস্তাব দিতে থাকত এবং তাদের কথায় রাজি না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। পরবর্তীতে তারা সুযোগ বুঝে ভিকটিমের অর্ধলগ্ন ছবি ও ধর্ষণের চেষ্টার দৃশ্যের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের জের ধরে ভিকটিমকে ২০,০০০ টাকা এবং শারিরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং তাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার হুমকি প্রদান করলে ভিকটিম বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।