র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, অপহরন ও হত্যাসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ০৪ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৫), জেলা- পটুয়াখালী, নুর ইসলাম (৩২), জেলা- পটুয়াখালী, গোলাম রাব্বি (২৫), জেলা- খুলনা, মোঃ আব্দুর রহমান (২৭), জেলা- পটুয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে একই তারিখ গোপালগঞ্জের জেলার কাশিয়ানি এলাকা হতে মোছাঃ শীমা আক্তার (২৮), জেলা- পটুয়াখালী এবং বুধবার মাদারীপুরের শিবচর এলাকা হতে শাহনাজ (৩৭)’কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক মিশ্রিত বিস্কুট, চেতনানাশক ঔষধ, ভিকটিম ফিরোজ এর মোবাইল ফোন ও ০১টি চোরাইকৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফাতরকৃত শফিকুল ইসলাম উক্ত অজ্ঞান পার্টি চক্রটির দলনেতা। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক। উক্ত পেশার আড়ালে সে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে সিএনজি/ ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব প্রদান করে থাকে। তার নিকট থেকে চোরাইকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, অসাধুভাবে চোরাই মালামাল বেচাকেনাসহ ০৪ মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফাতরকৃত নুর ইসলাম পেশায় একজন ট্রাক গাড়ির হেলপার। সে শফিকুল এর নেতৃত্বে সিএনজি/ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালকদের চেতনানাশক ঔষধ মেশানো বিস্কুট খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।