মিডিয়াতে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় খুবই আন্তরিক। প্রিন্ট মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এ সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। এই সেক্টরের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১৫-২০১৬ হতে মে ২০২৩ পর্যন্ত সারাদেশে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ৩ হাজার ২৩৯ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা কল্যাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছর হতে মে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার অংশ হিসেবে সারাদেশে ৯ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার এই কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ (সংশোধিত- ২০২) মোতাবেক তথ্য অধিদপ্তর ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। সরকার অনুমোদিত ১৮৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের মধ্যে ১৭৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১৭৭টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালের মধ্যে ১৫৫টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, একই সময়ে ১৫টির মধ্যে ১৪টি টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তথ্য অধিদপ্তর থেকে সাংবাদিকদের জন্য প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালার আলোকে সাংবাদিকেদের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করা হয়ে থাকে। সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ প্রেরণের সুবিধার্থে গণমাধ্যম কেন্দ্রে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং টিভিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকদের মান উন্নয়নের জন্য, প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য সারা বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে সেমিনার/মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অধিকতর সচেতন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প গ্রহণের জন্য জমি বরাদ্দের জন্য চেয়ারম্যান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা, চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম, চেয়ারম্যান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) রাজশাহী ও চেয়ারম্যান, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), খুলনা বরাবরে পত্র দেওয়া হয়েছে।