স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পশু কোরবানি এবং দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোনও অসুবিধা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্ব শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব বলেন তিনি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোরবানি পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে। যাতে কোরবানি পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ সহজ হয় বলেও জানান তিনি। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় মন্ত্রী কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়ালের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সব আয়োজন রাখা হবে। ছাদ বাগান বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষকে উৎসাহিত করার জন্য সব সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।