বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুশাসন সুসংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ ও গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে তৎপর সরকার। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল বুধবার এ চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পাটমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চত করা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়ন ও এর মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, এসডিজি বাস্তবায়ন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান ও বিভিন্ন সময়ে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রত্যেককে কর্মমুখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে, যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ বেগবান হবে। মন্ত্রী বস্ত্র ও পাটখাতের উন্নয়নে সব দপ্তর ও সংস্থার প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি প্রত্যেককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাটশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।