জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধের জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব সময় আমরা দেখে আসছি, নির্বাচন এলে সব ষড়যন্ত্রকারী এক হয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বন্যা-কুশুরা পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন উপলক্ষে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলেই অনেক স্রোত কাউন্টার আসে। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না এবং নির্বাচন যাতে হয় না এ জন্য অরাজকতা করতে থাকে। এ ধরনের কার্যকলাপ আমরা দেখছি। সব সময় আমরা দেখে আসছি, নির্বাচন এলে সব ষড়যন্ত্রকারী এক হয়ে যায়। আরেকটা নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ভোটে বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের যদি কেউ গদিটা পাইয়ে দেয়, সেই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা করে চলেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোনো ষড়যন্ত্রকে বিশ্বাস করেন না, কারও মাসল পাওয়ারে বিশ্বাস করেন না, দান পাওয়ারে বিশ্বাস করেন না। তিনি জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তাই কোনো অপশক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখে না। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। তিনি কারও রক্তচক্ষু কিংবা ধমকে মাথা নত করেন না, ঘাবড়ে যান না। জামায়াতের সমাবেশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াত সব সময় তাদের অনুষ্ঠানাদি করত। এবার তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে, সে জন্য তারা যেন অন্য কোনো ভেন্যু বেছে নেয়। তাই তারা ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় গিয়েছে। লোডশেডিংকে সাময়িক সমস্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অন্ধকার দিনের কথা ভুলি নাই। আমাদের যদি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত তাহলে ছয় ঘণ্টা থাকত না। এখন কিন্তু দুর্গম চরসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। সেখানে বসে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। যে বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে দিয়েছি, অবশ্যই সেটা অব্যাহত থাকবে। যে কোনো মূল্যে মাদক-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজের সন্তান কোথায় যায়, কী করে, খেয়াল রাখতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারব না, যদি আপনারা, অভিভাবকরা আমাদের সহযোগিতা না করেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, সাবেক সচিব সোহরাব হোসেন, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।