স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের ব্যাপক সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনা ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস করতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন পূর্ব সর্তকতা জারির প্রযুক্তি এখনো আমাদের দেশে নেই।
তাজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ‘১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতীয় উপমহাদেশের মহাভূমিকম্প স্মরণে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরসনে প্রস্তুতি এবং সতর্কতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় পরিকল্পিত নগরায়ন করারর কোন বিকল্প নেই। এজন্য শহরে উন্মুক্ত ও সবুজ স্থান যেমন লাগবে, তেমনি লাগবে জলাধর ও স্কুল-কলেজ।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা তৈরির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি প্রতিরোধে এই নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। এতে শহরের ওপর চাপ কমবে এবং মানুষ নিজের এলাকায় থাকতে উৎসাহিত হবেন।
ড. মো. এনামুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭২ হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা যাবে। সুতরাং ভূমিকম্পের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার বিকল্প নেই এবং ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে সকলকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
ড. মো. এনামুর রহমান আরো বলেন, ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে সরকারের।
এ সকল স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি সেগুলোকে নির্ধারিত মানদন্ডে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে বলেও জানান তিনি।