জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, বলেছেন, বর্তমানে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ মনের অধিক ধান আবাদ সম্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন জাত মাঠে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিজ্ঞানীগণ নিরলস পরিশ্রম করছেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, গবেষণাগার তৈরি ও গবেষণার কাজে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে কৃষিতে এই বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
শনিবার সাঁথিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
শামসুল হক টুকু আরো বলেন, দেশের প্রয়োজনীয় পিয়াজ-রসুনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয় পাবনা জেলা থেকে। মশলা জাতীয় এ ফসলটির উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে ও দেশীয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণে কৃষকদের নিয়মিত সহায়তা করে আসছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফলে পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের একটি। উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করে দেশে পেঁয়াজের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা’। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উত্তরাঞ্চলে আজ মঙ্গা নেই। এ অঞ্চলের মানুষ ধান, পেঁয়াজ, রসুন, পাট, বিভিন্ন ফলফলাদি আবাদ করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাঁথিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসান আলী খান, সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিনের অপর একটি অনুষ্ঠানে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শেষ প্রান্তে এসে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, ধুমপান ও মাদকমুক্ত একটি উন্নত দেশ।