দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সবকিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বুধবার সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের আলোচনায় জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি। এদিকে সংলাপ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতি করেন তাদের সভা-সমাবেশ করার রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। মন্ত্রী আরও বলেন, আমি যতদূর জানি, জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঢাকায় (বায়তুল মোকাররম এলাকায়) সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যেন তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।