ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে ধানক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা

বোরো ধানে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে এর সুফল পাচ্ছেন মাগুরা জেলার অন্যতম কৃষি নির্ভর শ্রীপুর উপজেলার কৃষকরা। কৃষকদের মধ্যে এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তারা তাদের বোরো ধানের জমিতে নানা ধরনের গাছের ডাল পুতে দিচ্ছেন। সেখানে প্যাঁচা, শালিক, দোয়েল, বনটিয়া, চড়ইসহ নানা জাতের পাখি বসছে এবং ধানের জন্য ক্ষতিকর এমন পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলছে। এ পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।
চলতি মৌসুমে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ একযোগে মাগুরার সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বোরো ধানের মাঠের ধানক্ষেতে পার্চিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদারসহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কৃষকগণ সঙ্গে ছিলেন। মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে করে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে মাঠের পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে পাখিতে। এতে ফসলের রোগবালাই অনেক কমে গেছে। এ কারণে ফসলের উৎপাদন খরচও কমে যাবে। কৃষকেরা আনন্দের সঙ্গে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, কৃষকেরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এতে অনেক সময় অসচেতন কৃষকেরা খালি গায়ে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন তাতে কৃষকের শারীরিক ক্ষতি হয়। আর ধানও কীটনাশকযুুক্ত হয় সেটা মানুষের জন্যও স্বাস্থ্যঝুকির কারণ হতে পারে। তাই এই পার্চিং কার্যক্রমের ফলে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে, পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে, মানব স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, ফসলের উৎপাদন খরচ কমবে ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদিত হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Tweet about this on Twitter
Twitter
Email this to someone
email
Print this page
Print
Pin on Pinterest
Pinterest

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন