জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক কমিটির ঘোষণার বছর পেরিয়ে আরো এক মাস চলে গেলেও এখনো কমিটি পূর্নাঙ্গ হয়নি। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি এক বছরের জন্য ইব্রাহিম ফরাজিকে সভাপতি ও এস এম আকতার হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে জয়-লেখক কমিটি।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন প্রায় শেষ। অনেকেই আশঙ্কা করছেন তারা আদৌ কি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাবে নাকি একটি আফসোস নিয়েই শেষ করতে হবে ছাত্র রাজনীতি। কারন এটাও হতে পারে কেন্দ্রের কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত জবির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবে না। আবার অনেকে এটাও আশংকা করছেন হঠাৎ যদি কেন্দ্র বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ কর্মী জানান, একটি পদের আশায় দিনের পর দিন নেতাদের পিছনে হাঁটছি জানিনা একটি পদ কবে পাবো। আর যদি একটা পদ না পাই তাহলে এত এত পরিশ্রম দিনের পর দিন নেতাদের পিছনে ঘুরা সব ই বৃথা যাবে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন বলেন, পদপ্রত্যাশীদের সিভি যাছাবাছাই করা হচ্ছে। আমাদেরকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নির্দেশনা দিয়েছেন। সামনে যেহেতু নির্বাচন যারা ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে পারিবারিক ব্যাক রাউন্ড দেখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিবে কেন্দ্রীয় নেতারা। কত সদস্যের কমিটি হবে এ নিয়ে তিনি বলেন তা অবশ্যই গঠনতন্ত্র অনুসারেই হবে তবে সেটা কত সদস্যের হবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চলতি মাসে সম্ভাবনা নেই তবে হয়তো আগামী মাসে কমিটি পূর্নাঙ্গ হতে পারে এ নিয়ে নিয়মিত কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজিও প্রায় একই বলেন। তিনি বলেন প্রায় হাজার খানেক সিভি জমা পড়েছে যেহেতু দশ বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই তাই চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান মুঠোফোনে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গের তাগাদা দেওয়া হয়েছে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেওয়া আছে তারা সেভাবে কাজ করছেন। কবে নাগাদ হতে পারে পূর্ণাঙ্গ কমিটি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপাতত নির্দেশনা এতটুকুই এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইনকে একাধিকবার ফোনকরে ও ক্ষুদেবার্তা দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালে শরিফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম নেতৃত্বে থাকাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি পূর্নাঙ্গ হয়েছিল এরপরে দীর্ঘ প্রায় দশ বছরে দুইটি কমিটি হলেও এই ইউনিট পূর্নাঙ্গ কমিটি পায়নি।